গত বছরের এই দিনে নারীদের সাহসী ও গৌরবময় ভূমিকার স্মরণে আজ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই আলোচনার দ্বিতীয় ধাপের ১৩তম দিনের শুরুতে সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ নারীদের অবদানকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।
অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, ‘নারীদের গৌরবময় ভূমিকার কারণে আন্দোলন বেগবান হয়। সেই অবদানকে স্মরণ করে আমরা যেন সেই ভূমিকার ফসলকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরের ১৪ জুলাই শেখ হাসিনার একটি মন্তব্যের জেরে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা রাতের অন্ধকারে রাজপথে নেমে আসেন। এরপর একে একে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যুক্ত হন। নারীদের অগ্রণী ভূমিকায় গড়ে ওঠা গণআন্দোলনই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পথ সুগম করে।’
আজকের আলোচনায় জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির প্রস্তাব বিশেষভাবে স্থান পায়। আলী রীয়াজ বলেন, ‘এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, যৌথ প্রতিরোধের শক্তি কেমনভাবে স্বৈরশাসককে পালাতে বাধ্য করেছিল। নারী শিক্ষার্থীদের যে সাহসিকতা ও নেতৃত্ব আমরা দেখেছিলাম, তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান এবং মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। আলোচনার সঞ্চালনায় ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় ঐকমত্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, সিপিবি, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেন। উপস্থিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ নারীদের বলিষ্ঠ অংশগ্রহণকে স্বীকৃতি দিয়ে তা রাজনৈতিক কাঠামোয় আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।