নিউজ ডেক্স ।।
২০০৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চালু হলে দেশে সকল সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন ও এনজিও পরিচালিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ পাই।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রাথমিক বৃত্তি দেয়া হতো।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বন্ধ হলে- ২০২২ সালে পূর্বের ন্যায় ৫ম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষার সুযোগ পাই।
কিন্তু অতীব দুঃখজনক যে বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশের অসংখ্য ছাত্র-জনতা জীবন উৎসর্গ করলো সেই জুলাই অভ্যূন্থানের বর্ষপূতি কালে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত ১৫ই জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাহী কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন – ২০২৫ এর ৫ম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করতে পারবে।
উল্লেখ্য যে, বর্তমানে সারাদেশে ৫০ হাজারের বেশী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটির বেশী। ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে অসংখ্য স্কুলে সাধারণ কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের সন্তানেরা পড়া-লেখা করছে। এসব স্কুলে দশলক্ষ শিক্ষক, কর্মচারী সামান্য বেতন/সম্মানির বিনিময়ে শিক্ষার মতো মহান সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।
বেসরকারি স্কুলে অধ্যায়নরত এক কোটি শিক্ষার্থীদের সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর – এক বৈষম্য মূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যা জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।