গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রমজান মুন্সী (২৮) নামে এক অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
নিহত রমজান মুন্সী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত আকবর মুন্সীর ছেলে। পেশায় তিনি ছিলেন একজন অটোরিকশাচালক।
রমজানের ছোট ভাই ইমরান মুন্সী জানান, “আমার ভাই প্রতিদিনের মতো রিকশা চালাচ্ছিল। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে সিনেমা হলের পাশে যাত্রী নামিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সদর উপজেলার চৌরঙ্গী কোর্টের সামনে পৌঁছালে চলমান সহিংসতার মধ্যে পড়ে। এ সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলি তার ডান হাতের কব্জির উপর ও ডান পাশের বগলে লাগে। খবর পেয়ে আমরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। অবস্থার অবনতি হলে সেদিন রাতেই ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে সে মৃত্যুবরণ করে।”
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
বর্তমানে সহিংসতায় আহত আরও দুইজন—সুমন বিশ্বাস (২০) ও আব্বাস আলী সরকার (৩০)—ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে সহিংস ঘটনায় এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচজনে। এর আগে বুধবারই প্রাণ হারান আরও চারজন। তারা হলেন—মোবাইল যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা (৩৫), পোশাক ব্যবসায়ী দীপ্ত সাহা (২৫), সিরামিক দোকানকর্মী ইমন তালুকদার (১৭) ও রাজমিস্ত্রির সহকারী রমজান কাজী (১৮)।