কুষ্টিয়ার মিরপুরে স্বামীর দিনমজুরির পারিশ্রমিকের হিসাব চাওয়ায় স্ত্রীকে ইটের আঘাতে মাথা থেঁতলে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) ভোরে উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ধাপাড়িয়া গ্রাম থেকে অভিযুক্ত কলিমুদ্দিন (৪৫) কে গ্রেপ্তার করে মিরপুর থানা পুলিশ। তিনি একই এলাকার মৃত ইয়াসিন মন্ডলের ছেলে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে কলিমুদ্দিনের স্ত্রী আসমা খাতুন (৪৩) আত্মহত্যা করেছে—এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে পৌঁছে আসমার মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়।
পরে মিরপুর থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি প্রথমে আত্মহত্যার গল্প বললেও পরে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
জবানবন্দিতে কলিমুদ্দিন জানান, গত তিন দিন ধরে আসমা তার দিনমজুরির হাজিরার হিসাব জানতে চাইছিলেন। এ নিয়ে তর্কের এক পর্যায়ে তিনি রাগের মাথায় বাড়ির উঠানে থাকা ইটের টুকরো দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে ঘটনাটি আত্মহত্যা হিসেবে দেখাতে লাশ আড়ায় ঝুলিয়ে রাখেন।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মমিনুল ইসলাম জানান, “ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও পরে তদন্তে হত্যার প্রমাণ মেলে। আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।”