আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার
ভেনিজুয়েলা অভিযোগ করেছে, ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ চালাচ্ছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানগুলোতে মার্কিন হামলায় ভেনিজুয়েলার নাগরিকদের মৃত্যুর ঘটনায় জাতিসংঘের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ
ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ক্যারিবীয় সাগরে মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ভেনিজুয়েলার উপকূলের আন্তর্জাতিক জলসীমায় যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি পুয়ের্তো রিকোতে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছে।
ভেনিজুয়েলার প্রতিক্রিয়া
ভেনিজুয়েলার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভলাদিমির পাদ্রিনো লোপেজ বলেন, “এটি একটি অঘোষিত যুদ্ধ। মাদক ব্যবসায়ী হোক বা না হোক, কোনো প্রতিরক্ষার সুযোগ না দিয়েই ভেনিজুয়েলার মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে।”
অ্যাটর্নি জেনারেল তারেক উইলিয়াম সাব অভিযোগ করেন, ছোট নৌযানগুলোর প্রতিরক্ষাহীন জেলেদের হত্যা করতে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার মানবতাবিরোধী অপরাধ। এ বিষয়ে জাতিসংঘের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান গিল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানিয়েছেন, ক্যারিবীয় সাগরে মার্কিন সামরিক পদক্ষেপ অবিলম্বে বন্ধে ব্যবস্থা নিতে।
সামরিক মহড়া ও অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতি
এমন পরিস্থিতিতে ভেনিজুয়েলা ক্যারিবীয় দ্বীপ লা অর্চিলাতে তিন দিনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে। এই দ্বীপের কাছেই সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ভেনিজুয়েলার একটি মাছধরা নৌকা আট ঘণ্টা আটক রেখেছিল।
প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো জনগণকে মিলিশিয়া প্রশিক্ষণে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। রাজধানীর নিম্ন আয়ের এলাকায় সেনাদের মাধ্যমে নাগরিকদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
মাদুরোর অভিযোগ
মাদুরোর দাবি, যুক্তরাষ্ট্র সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনার মাধ্যমে তার সরকার উৎখাত করে ভেনিজুয়েলায় পুতুল সরকার বসাতে এবং দেশটির তেল দখল করতে চাইছে। কারাকাস আত্মরক্ষার বৈধ অধিকার প্রয়োগ করবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র নিকোলাস মাদুরোকে মাদক কার্টেল পরিচালনার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে এবং তার বিরুদ্ধে ৫০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছে।