নিজস্ব প্রতিনিধি।। গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনায় চারটি হত্যা মামলা হয়েছে।
পুলিশ বাদী হয়ে ৫ হাজার ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় এসব মামলা করে।গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন হত্যা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গোপালগঞ্জে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ ও সমাবেশ ঘিরে বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে।
চারটি হত্যা মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে ৫ হাজার ৪শ জনকে । মামলায় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৮৬, ১৫৩, ৩০৭,৩০২ ও ৩৪ ধারা উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গোপালগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়ানোর অভিযোগে মোট চারটি মামলা করা হয়। গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী ও কোটালীপাড়া থানায় মামলাগুলো করে পুলিশ। চারটি মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২ হাজার ৬৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩২১ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জেলার পাঁচটি থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সদর থানায় নতুন ৯ জনসহ ১০১ জন, কাশিয়ানীতে ৭৭ জন, মুকসুদপুর ৮৮ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ২৭ জন ও কোটালীপাড়ায় নতুন ৬ জনসহ ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী