রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় দুটি রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঘটনায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শান্তি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সর্বদা বদ্ধপরিকর। একই বিজ্ঞপ্তি আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকেও প্রচার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে কাকরাইল এলাকায় দুটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরবর্তীতে সংঘর্ষ বৃদ্ধি পেলে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও আক্রমণ চালানো হয়, এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
আইএসপিআর জানায়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রথমেই উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানায় এবং শান্তিপূর্ণভাবে স্থান ত্যাগের অনুরোধ করে। কিন্তু বারবার অনুরোধ উপেক্ষা করে কতিপয় নেতাকর্মী সহিংসতা চালিয়ে যায়। রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিল বের করা হয় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এতে বিজয়নগর, নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্য আহত হন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানায়, মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে এবং সেনাবাহিনীও সরকারের এ সিদ্ধান্তকে পুনর্ব্যক্ত করছে। জননিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সর্বদা বদ্ধপরিকর বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।